বোরকা এবং হিজাবের কালো রঙের পছন্দ সম্পর্কে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে ১০টি মূল কারণ তুলে ধরা হলো:
- সাধারণ শিষ্টাচার: ইসলামিক শিষ্টাচারের অনুসরণে নারীরা নিজেদের সজ্জিত করতে পারেন না যাতে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। কালো রঙ সাধারণত শোভা বা অলঙ্করণ থেকে দূরে থাকে, যা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে উপযুক্ত।
- দৃষ্টি আকর্ষণ না করা: কালো রঙ সাধারণত অন্য কোন রঙের তুলনায় কম দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা ইসলামী পর্দার নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ।
- অবশ্যই কালো হওয়া জরুরি নয়: ইসলামে নারীদের জন্য কালো পোশাক পরা আবশ্যক নয়। তারা অন্য রঙের পোশাকও পরতে পারেন, যতক্ষণ না তা আকর্ষণীয় বা পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী হয়।
- বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্কৃতি: কালো রঙ অনেক মুসলিম সমাজে ঐতিহ্যবাহী এবং প্রচলিত হয়ে গেছে, যা আধুনিক সমাজে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
- বেশি দৃশ্যমান না হওয়া: কালো পোশাক অন্যান্য রঙের তুলনায় বেশি ফিটিং বা পাতলা না হয়ে, শরীরের আকৃতি দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
- শালীনতা এবং পর্দা: কালো রঙের পোশাক নারীর শালীনতা ও পর্দাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়, যা ইসলামী নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- একটি নিরপেক্ষ রঙ: কালো রঙ অন্য কোন ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অশুভ বা নেতিবাচকভাবে দেখা হয় না, তাই মুসলিম নারীদের জন্য এটি নিরাপদ একটি বিকল্প হতে পারে।
- তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য: বিশেষ করে গরম অঞ্চলে, কালো রঙের পোশাক সহজে ঘাম এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- ইতিহাস এবং ঐতিহ্য: ইসলামিক ইতিহাসে অনেক সাহাবী নারী কালো পোশাক পরতেন, যার ফলে কালো রঙের পোশাক পরা একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
- বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা: কালো রঙের পোশাক মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সহজেই গ্রহণযোগ্য, এবং একে শান্তি ও শালীনতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কালো রঙ পরা ইসলামের মধ্যে কোনো বাধ্যবাধকতা নয়, বরং শালীনতা বজায় রাখতে যে কোনো রঙ পরা যেতে পারে, যতক্ষণ তা ইসলামী বিধি অনুযায়ী সজ্জিত না হয়।