ইসলামে নারীদের জন্য পর্দার নিয়মাবলী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি তাদের শালীনতা এবং মর্যাদা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হয়েছে। পর্দার মূলনীতি হল নারীদের আচ্ছাদিত থাকা, যাতে তারা অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টির মুখোমুখি না হন। নারীদের পর্দা সংক্রান্ত কিছু মূল নিয়মাবলী নিম্নরূপ:
- শরীরের আচ্ছাদন: ইসলাম অনুযায়ী, নারীদের শরীরের সমস্ত অংশ শালীনভাবে আচ্ছাদিত থাকা উচিত, যা সাধারণত মুখ, হাত ও পা বাদে। তবে কিছু মতানুযায়ী, পুরুষদের থেকে ভিন্ন মহিলাদের পুরো শরীরকে আচ্ছাদিত রাখা আবশ্যক।
- চুলের আচ্ছাদন: নারীদের জন্য চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক, কারণ চুলের সৌন্দর্য পুরুষদের জন্য ফিতনা হতে পারে। তাই, হিজাব বা বোরকা পরিধান করতে বলা হয়েছে।
- সামাজিক পরিবেশে শালীনতা: নারীদের জন্য এমন পরিবেশে প্রবেশ করা বা এমন পোশাক পরিধান করা নিষেধ, যা তাদের শালীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে। উদাহরণস্বরূপ, অত্যন্ত অশালীন বা আকর্ষণীয় পোশাক পরিধান করা ইসলামসম্মত নয়।
- নরম শব্দ এবং আচরণ: নারীদের অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা, এবং চলাফেরা শালীন হওয়া উচিত। তারা যাতে পুরুষদের প্রতি কোনো অস্বাভাবিক মনোযোগ আকর্ষণ না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
- তথ্য ও যোগাযোগ: মুসলিম নারী ও পুরুষের মধ্যে যতটা সম্ভব একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত রাখতে হবে, এবং কোনো অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত দৃষ্টির শিকার না হতে চেষ্টা করতে হবে।
ইসলামিক শরিয়াহ অনুসারে, পর্দা শুধু বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং নারীর অন্তর্গত সম্মান এবং নিরাপত্তার প্রতীকও। তবে, দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং ধর্মীয় স্কুলের ভিত্তিতে কিছু বৈচিত্র্য থাকতে পারে।