বোরকা পরা নারীরা সবসময় মুখ ঢেকে রাখেন কি না, এটি নির্ভর করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর। যদিও কিছু দেশ বা সম্প্রদায়ে বোরকা পরা নারীদের জন্য মুখ ঢেকে রাখা একটি বাধ্যতামূলক নিয়ম, অন্য দিকে কিছু সমাজে এটি কেবল ঐচ্ছিক বা ব্যক্তিগত পছন্দ হতে পারে।
1. মুখ ঢেকে রাখার নিয়ম:
বোরকা সাধারণত একটি পূর্ণ শরীর ঢাকার পোশাক যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত আচ্ছাদিত থাকে। তবে, কিছু অঞ্চলে বা মুসলিম সম্প্রদায়ে, বোরকায় মুখও ঢেকে রাখা প্রথা। এটি বিশেষ করে শরিয়া আইন বা ধর্মীয় অনুশাসনের ভিত্তিতে করা হয়। এখানে মুখ ঢেকে রাখার উদ্দেশ্য হল, নারীর শালীনতা এবং নিরাপত্তা রক্ষা করা, যাতে তারা অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টির সম্মুখীন না হন।
2. কিছু অঞ্চলে মুখ না ঢাকার প্রবণতা:
অনেক মুসলিম সমাজে, যেমন তুরস্ক বা মিশরের কিছু অংশে, বোরকা পরা নারীরা মুখ খুলে রাখতে পারেন, বা শুধুমাত্র হিজাব পরিধান করে থাকেন, যা তাদের চেহারা এবং মুখ খোলা রাখতে দেয়। বিশেষ করে, শহুরে এলাকায় বা আধুনিক সমাজে, নারীরা মাঝে মাঝে বোরকার বদলে হিজাব বা অন্য কোনো পর্দা পরেন যা মুখ ঢেকে রাখে না।
3. মুখ ঢেকে রাখার উপকারিতা ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ:
ইসলামে, নারীদের জন্য পর্দা বা হিজাবের উদ্দেশ্য হল তাদের শালীনতা রক্ষা করা এবং অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টির থেকে নিরাপত্তা প্রদান করা। কিছু মুসলিম নারীরা মনে করেন যে মুখ ঢেকে রাখা তাদের পবিত্রতা এবং ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে সঠিক। তবে, এই ব্যাপারটি নির্ভর করে যে, কোনো নারীর ধর্মীয় বিশ্বাস কেমন এবং তার নিজস্ব পছন্দ কী।
4. আধুনিক সমাজে মুখ ঢেকে রাখার পরিস্থিতি:
পশ্চিমা দেশগুলোতে, যেখানে বোরকা পরা বা মুখ ঢেকে রাখার প্রথা কম প্রচলিত, সেখানে নারীদের মুখ খোলা রাখতে উৎসাহিত করা হয়, যাতে তারা সমাজের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে। কিছু দেশে, যেমন ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামে, সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে রাখার বোরকা বা নিকাব পরা নিষিদ্ধ। এসব দেশে, নারীরা সাধারণত মুখ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন এবং কখনও কখনও হিজাব বা সাধারণ শালীন পোশাক পরেন।
উপসংহার:
বোরকা পরা নারীরা সবসময় মুখ ঢেকে রাখেন না, কারণ এটি সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে। কিছু সম্প্রদায়ে বা ধর্মীয় অনুশাসনে মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক, তবে অনেক মুসলিম নারীরা তাদের ব্যক্তিগত শালীনতা, নিরাপত্তা এবং সুবিধার ভিত্তিতে মুখ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন।