আবায়া এবং বোরকা দুটোই মুসলিম নারীদের পরিধানযোগ্য পোশাক, তবে এগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
১. আবায়া:
- আবায়া হলো একটি ঢিলেঢালা, দীর্ঘ ব্ল্যাক গাউন, যা সাধারণত শরীরের উপরের অংশ থেকে নিচে পর্যন্ত ঢেকে রাখে। এটি সাধারণত মাথার উপরে হিজাব বা স্কার্ফের সাথে পরা হয়।
- আবায়া একটি আধুনিক ও শালীন পোশাক হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশ, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে জনপ্রিয়। এটি সাধারণত খুব গা dark ় রঙের (যেমন কালো) হয়ে থাকে, তবে কিছু আবায়া ডিজাইনে রঙ এবং অলঙ্করণ থাকতে পারে।
- আবায়া পরার সময় মুখ এবং হাত খোলা থাকে, তবে শরীরের বাকি অংশ ঢেকে রাখা হয়।
- এটি ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পরা হয় এবং নারীর শালীনতা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি কিছু সমাজে আরো আধুনিক এবং অনানুষ্ঠানিক ভাবে পরিধান করা হয়।
২. বোরকা:
- বোরকা হলো একটি পুরো শরীর ঢেকে রাখার পোশাক, যা পুরো শরীর এবং মুখ আচ্ছাদিত করে। এটি মূলত একটি কালো রঙের পোশাক, যা চোখের জন্য একটি জাল বা গ্রিল (নেট) দিয়ে তৈরি হতে পারে, যাতে মুখ দেখা না যায়।
- বোরকা সাধারণত আফগানিস্তান, সৌদি আরব এবং কিছু অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে পরা হয়, যেখানে নারীদের জন্য এটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বাধ্যবাধকতা হতে পারে।
- বোরকা পরা নারীরা শালীনতা এবং নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে পূর্ণ শরীর ঢাকা রাখেন, এবং এটি প্রায়ই ইসলামী পর্দা বা শালীনতা রক্ষার একটি অংশ হিসেবে দেখা হয়।
পার্থক্য:
- আবায়া সাধারণত মুখ খোলা রেখে পুরো শরীর ঢেকে রাখে, যেখানে বোরকা মুখও ঢেকে রাখে এবং পুরো শরীর আচ্ছাদিত থাকে।
- আবায়া হলো একটি শালীন গাউন, যা সাধারণত আরো আধুনিক এবং কম আঁটসাঁট, কিন্তু বোরকা একটি সম্পূর্ণ পর্দা হিসেবে দেখা যায় যা আরো কড়া আচ্ছাদন দেয়।
সারাংশে, আবায়া এবং বোরকা উভয়ই মুসলিম নারীদের শালীনতা রক্ষা করার পোশাক, তবে তাদের আচ্ছাদনের ধরন এবং সামাজিক ব্যবহার ভিন্ন হতে পারে।